আজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, অনতিবিলম্বে ১৭ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ২১ আগস্ট বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনুন। ছাত্রলীগ ঢাকা-লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করে দেবে। তবুও আইনের শাসন বাস্তবায়ন করুন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা ও স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন-আস্ফালনের’ প্রতিবাদে ছাত্রসমাজের পদযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রলীগ। এতে সভাপতির বক্তব্যে সাদ্দাম হোসেন এসব কথা বলেন।
এ সময় বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য অনেক কাজই তারা করেছে, লবিস্ট নিয়োগ করেছে, টাকা-পয়সা দিয়েছে। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে তারা শোকবার্তা দিয়েছে। এতে বুঝা যায়, তারা গণতন্ত্রের মুখপাত্র নন, তারা যুদ্ধাপরাধীদের মুখপাত্র। আসুন আমরা এই সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করি। এসব রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।’
সাদ্দাম আরও বলেন, ১৭ আগস্ট যা ঘটেছিল তা পৃথিবীর কোথাও তা ঘটেনি। দেশের ৪৩৪টি স্থানে এক সঙ্গে প্রায় ৫০০ বোমা হামলা হয়েছিল। জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী, ধর্মীয় উগ্রবাদের ঘটনা পৃথিবীর অনেক দেশেই ঘটেছে। কিন্তু দেশব্যাপী সাংগঠনিক নেটওয়ার্কের যে পরিচয় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী দেখাতে পেরেছিল, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
এ সময় তিনি বলেন, এটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা পাওয়ার মতো। কেননা, এটি যেমন একটি দেশের ৯৯ ভাগ জায়গায় জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পেরেছিল, একইসঙ্গে এটি পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ঘটনা— যেটিতে সরাসরি রাষ্ট্র ও সরকার জড়িত।
এদিকে বর্তমান সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের বিরোধিতা করার জন্য ছাত্রলীগ করার প্রয়োজন নেই, একজন সুনাগরিক, দেশের প্রতি ন্যূনতম দায়বদ্ধতা, বাংলা মায়ের প্রতি এতটুকু ভালোবাসা অনুভব করলে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনার সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিতে হবে।’